ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ফুলতলা ষ্টেশন রনক্ষেত্র, গুলিবিদ্ধসহ আহত-১১, আটক-১

songars2tbfh-960x480-960x480পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়নের উত্তর মগনামা ফুলতলা ষ্টেশনে রনক্ষেত্র পরিনত হয়েছে। ইউনিয়ন যুবদল সাবেক সভাপতি খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে একদল স্বস্ত্র অস্ত্রধারী অন্তত ৬-৭রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। এ সময় দু’জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১১জন আহত হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (রাত ১০টা) ফুলতলা ষ্টেশনে শতশত উত্তেজিত লোকজন স্বসস্ত্র অবস্থান সুসংহত করেছে। লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, লোহার রড হাতে নিয়ে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া অব্যহত রয়েছে। খালেদ মোশারফ ও সাবেক ছাত্রদল ক্যাডার বহু মামলার ফেরারী আসামি দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে উৎশৃংখল লোকজন ফুলতলা ষ্টেশনে বেশ কিছু দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্টান ভাংচুর সহ লুটপাট চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। আহতরা হলেন আফজলিয়াপাড়া এলাকার আমিনুল হকের ছেলে বেলাল উদ্দিন (৪০), ওসমান গনির ছেলে মো.ছবি (৩৫), কালুর ছেলে জালাল উদ্দিন (২৫), আনোয়ারের ছেলে সোনা মিয়া (২০), মৃত.জালাল আহমদের ছেলে নাজেম উদ্দিন (৪৫), আকতার হোসেনের ছেলে ম্যাজিক গাড়ির হেলপার (শাকের উল্লাহ (১৮), মৃত.মো.ছফির ছেলে রিক্সা চালক আবু (৪৫), তার ভাই মোস্তাক আহমদ (৪৭), আমিনুল হকের ছেলে ইউনুস (২০), নুরুল ইসলামের ছেলে নেজাম উদ্দিন মুজাহিদ (২৭) ও বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী ফুলমাছ খাতুন (৩৫)। তাদেরকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে বেলাল উদ্দিন ও জালাল উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ওই সন্ধ্যায় ফুলতলা ষ্টেশনে আফজলিয়া পাড়ার কয়েকজনকে মারধর করে মাঝিরপাড়া এলাকার সাকের আহমদেও ছেলে দিদার, লাল মিয়া পাড়ার আইয়ুবের ছেলে আরমানসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এনিয়ে আফজলিয়া পাড়ার লোকজন প্রতিবাদ মুখর হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছুক্ষনের মধ্যে আরমানের চাচা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি খালেদ মোশারফ এর নেতৃত্বে ২০-৩০জন অস্ত্রধারী ফুলতলা ষ্টেশনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে আফজলিয়া পাড়ার লোকজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন। পরে লালমিয়া পাড়া, মাঝির পাড়া ও করলীয়া পাড়ার লোকজন জোটবদ্ধ হন খালেদ ও দিদারের নেতৃত্বে। মুর্হুতের মধ্যে ফুলতলা ষ্টেশনে ব্যাপক তান্ডব ও ভাংচুরসহ লুটপাট চালায়। তারা প্রতিপক্ষের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্টানে হানা দেয়। এ সময় ডিস সংযোগ, টিভি, মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় তারা দ্বিতীয় দফায় সংঘবদ্ধ হয়ে আফজলিয়া পাড়া এলাকায় ঢুকে পড়ে। এ সময় ওই গ্রামে প্রতিপক্ষের চারটি বাড়ি ভাংচুর করে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজিত লোকজন ভাংচুর অব্যহত রাখে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। এ সময় পুলিশ নাজেম, উদ্দিন নামের একজনকে আটক করে। তবে স্থানীয়রা জানায় নাজেম উদ্দিন ওই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। স্থানীয়রা জানায় দিদার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার ফেরারী থাকায় অনেক দিন এলাকায় আত্বগোপনে ছিল। ওইদিন প্রতিপক্ষের সাথে মারপিটে জড়াতে দিদারের চাচা খালেদ ও চাচাতো ভাই আরমান তাকে মগনামায় নিয়ে আসে। পেকুয়া থানা অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার জানায় ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনা হয়েছে। পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: